স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু যুক্তিতর্ক শুনানিতে এ দাবি জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের অপর আইনজীবী তাপস কুমার পাল শুনানিতে বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে এ মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা সাহেদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। প্রমাণ হয়েছে, সাহেদ এ মামলায় দোষী। আমরা আদালতের কাছে সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কামনা করছি।

সাহেদের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করতে চাইলে আদালত তা মুলতবি রেখে আগামী ধার্য তারিখে সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের দিন নির্ধারণ করেন।

আদালত এ মামলায় বিগত চারটি কার্যদিবসে ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে মামলার সাক্ষ্য সমাপ্ত করেন।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।

মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাঁকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়।

সাহেদের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। সে মামলায় র‍্যাব গত ৯ সেপ্টেম্বর সাহেদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ ঘটনা ছাড়াও সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে ৪ হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করেছে।

মাত্র একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে ৪ হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। পজিটিভ-নেগেটিভ মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন।

এ ঘটনায়ও পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতেরও মামলা রয়েছে।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ