নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনাকালীন সময়ে শর্তসাপেক্ষে কওমি মাদ্রাসাসমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য খুলে দেয়া হলেও চট্টগ্রামের মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে পালনা না করায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে গত ২৪ আগস্ট কওমি মাদ্রাসাসমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কতিপয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাটি আরোপিত শর্তসমূত যথাযথভাবে না মানায় পুরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ ঘোণষা করা হলো।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর থেকে বিভিন্ন দাবিতে মাদরাসাটিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রদের একাংশ। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুরের খবরও পাওয়া গেছে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ সকালে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ বিভিন্ন শিক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাতে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও লাঠি হাতে পুরো মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার সব গেট তালাবদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি জসিম ও মাওলানা ওমরের রুমে ভাঙচুর চালানো হয়।