স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একজন সাবেক মডেল যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। ওই ঘটনাকে তিনি ‘অসুস্থ’ ‘সীমা লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ওই নারী মডেলের নাম অ্যামি ডোরিস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোরিস এ অভিযোগ করেন। গতকাল এ খবর জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

সাক্ষাৎকারে অ্যামি ডোরিস বলেন, ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাথরুমে ট্রাম্প তাকে হেনস্তা করেন। এ সময় ট্রাম্প তাকে জোরপূর্বক গলা চেপে ধরেন এবং তার কবল থেকে বের হতে পারেননি। এ সময় ট্রাম্প তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন।

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ট্রাম্পের সঙ্গে ডোরিসের বিভিন্ন ছবি দেখা যায়। এর আগেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন পর্নো তারকাও ছিলেন। তবে ট্রাম্প সব সময় এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

এদিকে পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে যে, ট্রাম্প মার্কিন স্বার্থকে সবার ওপরে গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে করে বাইরের বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আস্থা কমে গেছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ছিল যুক্তরাজ্যের ৮৩ শতাংশ মানুষের। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪১ শতাংশে।

জার্মানিতে ২০০০ সালে ৭৮ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুভাবাপন্ন ভাবলেও এখন ভাবছেন মাত্র ২৬ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশের ওপর কানাডাবাসীর আস্থা গত ২০ বছরে ৭২ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ১৩ দেশের মানুষের মধ্যে এ আস্থা রয়েছে গড়ে মাত্র ১৬ শতাংশের। এর মধ্যে জাপানে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ এবং বেলজিয়ামে রয়েছে মাত্র ৯ শতাংশের।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ