সিলেট অঞ্চলে জ্বরের প্রকোপ: আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের
18, September, 2020, 4:49:43:PM
আব্দুল্লাহ আল নোমান: সিলেট অঞ্চলে এক সপ্তাহ ধরে ভাইরাসজনিত জ্বরে (ভাইরাল ফিভার) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার উঠা-নামার কারণেই ভাইরাল ফিভারের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে জ্বরে আক্রান্তদের এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
অবশ্য জ্বর-সর্দিসহ শরীরে ব্যাথার কারণে করোনার উপসর্গ মনে করে অনেকেই কোভিট-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিচ্ছেন। তবে তাদের অধিকাংশের ফলই নেগেটিভ আসছে। এমনই একজন সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনজুর আহমদ।
তিনি বলছিলেন, ‘কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বর সর্দিতে ভুগছিলেন। এসময় শরীর জুড়ে তীব্র ব্যাথাও অনুভব করছিলেন তিনি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত সপ্তাহে কোভিট-১৯ টেস্টের জন্য নমুনা জমা দেন। অবশ্য পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে।’
চিকিৎসকদের মতে, তাপমাত্রার উঠা-নামা, গরম ঠান্ডা সর্বোপরি ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই জ্বর হলে শীত শীত ভাব, মাথা ব্যথা, শরীরে ও গিরায় ব্যথা, খাওয়ায় অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হতে পারে। শিশুদের টাইপ বি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমনে পেট ব্যাথা হতে পারে।
এ ধরণের রোগীদের প্রচুর পানি পান করা এবং বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া সাধারণ রোগীদের প্যারাসিটামল, সর্দি থাকলে এন্টি হিস্টামিন খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি বেশী কাশি এবং শ্বাস কষ্টসহ অন্য কোন ধরণের জটিলতা থাকলেও ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত বলেও জানিয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ভাইরাসজনিত জ্বর হয়ে থাকে। এ জ্বরের স্থায়িত্ব ৩/৫ দিন হতে পারে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি জ্বরের স্থায়িত্ব বেশি দিন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হবে।’