লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা প্রাত্যহিক জীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হই। এসব সমস্যা আপনা-আপনিই চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে। এসব বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তাই দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ। এ ধরনের দুশ্চিন্তা বংশগতও হতে পারে; তাহলে কিন্তু এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া তিক্ত ঘটনা কিংবা অত্যধিক কাজের চাপ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়।
আর বর্তমান সময়ে চাইলেও আমরা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারছি না। কারণ চারপাশেই মহামারি করোনাভাইরাসের তা-ব চলছে। তাইতো নিজেকে এবং পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে নানা দুশ্চিন্তা এসে ভর করবেই। কিন্তু জানেন কি, এই দুশ্চিন্তাই নানা রকম মারাত্মক রোগ ডেকে আনতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে :
১. দুশ্চিন্তা বাড়লে আমরা অনেকেই সামনে যা পাই তা খাওয়া শুরু করি অথবা অলস হয়ে শুয়ে কিংবা বসে থাকি। কেউবা হয়ে পড়েন নেশাগ্রস্ত। ফলে বাড়তে পারে ওজন। আর এই ওজন বাড়ার সাথে অসুখ-বিসুখের আশঙ্কাও বাড়ে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হাই কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার, হৃদরোগ, গেঁটে বাত ইত্যাদি।
২. মানসিক চাপের সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অনিদ্রা ও খিটখিটে মেজাজের সম্পর্ক রয়েছে । এসবের ফলে কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৩. দুশ্চিন্তার কারণে গ্যাস্ট্রিক, বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়া দুশ্চিন্তার কারণে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।
যেসব নিয়ম মেনে চলবেন :
১. দুশ্চিন্তামুক্ত থাকলে হলে নতুন স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন, ততই ভালো থাকবেন।
২. নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখতে চাইলে পড়তে পারে বই। এছাড়াও বেছে নিতে পারেন গান শোনা, ঘরে বসে সিনেমা দেখা বা হালকা ব্যায়াম করা।
৩. টিভিতে সারাদিন খবর আর টক শো দেখবেন না। কমেডি শো, কার্টুন দেখতে পারেন।
৪. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও স্থুলতার সমস্যা থাকলে নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন। এতে আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন।
৫. শরীর ও মন সুস্থ রাখতে খাবারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। এজন্য এড়িয়ে চলতে হবে, অতিরিক্ত লবণ, ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মিষ্টি।
৬. আপনার দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দেবে ঘুম। কিন্তু দুশ্চিন্তা কাটাতে ঘন ঘন চা-কফি-কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করবেন না।