সুনামগঞ্জের শুল্কবন্দরগুলো বন্ধ : সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চরম সংকটে
22, September, 2020, 1:14:3:PM
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ মাস থেকে সুনামগঞ্জের তিনটি শুল্কবন্দর বন্ধ থাকায় সরকারের কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৮০০ আমদানীকারক এবং ৫০ হাজার শ্রমিক আর্থিক বিপর্যয়ে পড়েছেন।
ভারতের মেঘালয় থেকে তাহিরপুর সীমান্তের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা ও পাথর আমদানি করা হয়। এই শুল্কস্টেশনগুলোতে নানা রকম কাজে যুক্ত থাকেন ৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। শুল্কস্টেশন দিয়ে আমদানী বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। শ্রমিকরা জানান, শুল্ক বন্দর চালু না হলে না খেয়ে মরতে হবে তাদের।
তাহিরপুরের কয়লা আমদানিকারক সূত্র জানায়, ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মার্চের প্রথম সপ্তাহে মেঘালয়ের ২ লাখ টন উত্তোলিত কয়লা মৌখিক চালানের ভিত্তিতে রপ্তানি করার আদেশ দিয়েছিলেন। মেঘালয়ে ৩২ লাখ টন উত্তোলিত কয়লাও রয়েছে। এরমধ্যে ২ লাখ টন কয়লা রপ্তানি করার সুযোগ পেয়েছিলেন রপ্তানী কারকরা। পরবর্তীতে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এই কয়লা আমদানি হয়নি এবং পাথরও আসছে না।
বড়ছড়া-চারাগাঁও শুল্কস্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তাহিরপুরের ৩ শুল্কবন্দর চালু থাকলে মাসে দেড় কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। সেই হিসাবে গত ৭ মাস বন্দর বন্ধ থাকায় ১৫ কোটি টাকার মতো রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে সরকারের।