নিজাম উদ্দিন, কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেটের কানাইঘাট উপেজলায় কয়েক’শ নৌযান চালক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নৌকার চালক ও শ্রমিকরা কানাইঘাট থানার মূল ফটকে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
তারা জানান, প্রায় দেড়মাস পূর্বে লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ব্যবসায়ীদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক বলগেট ও স্টীল নৌকার চালক ও শ্রমিকরা পাথর নৌপথে পরিবহনের জন্য কোয়ারিতে আসেন। যথারীতি তারা বলগেটসহ স্টীল নৌকায় পাথর বোঝাই করার পর স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের পাথর বোঝাই বাহনগুলো আটক করে রেখেছে। এতে করে তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন এবং শত শত নৌযান চালক ও শ্রমিকরা অনাহারে জীবন যাপন করছেন। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। আটকা পড়া কয়েকটি পাথরবোঝাই নৌকা ডুবে গেছে।
শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান ও থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম এর কাছে বারবার স্মরণাপন্ন হওয়ার পরও তাদের পাথর বোঝাই নৌকাগুলো গন্তব্যস্থানে নিয়ে যেতে পারছেন না। যার কারণে বাধ্য হয়ে থানায় অবস্থান ধর্মঘটসহ বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। যতক্ষণ পর্যন্ত পাথরবোঝাই বাহন ছেড়ে দেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে বলেও জানান তারা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে নৌযান শ্রমিকরা বলেন, দেড় মাস থেকে তাদের পাথর বোঝাই বাহনগুলো আটক করে রাখা হয়েছে, কিন্তু কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না। প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এমতাবস্থায় সকল শ্রমিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, সিলেটের প্রশাসন তথা শ্রমিক মেহনতি মানুষের আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা আকুল আহ্বান জানিয়েছেন, দরিদ্র নৌযান চালক ও শ্রমিকদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে দ্রুত যেন তাদের নৌকাগুলো নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, আইনি জটিলতার কারণে পাথর বোঝাই বাহনগুলো কর্তৃপক্ষের নির্দেশে থানা পুলিশ আটক করে রেখেছে। তবে আটকেপড়া নৌযান চালক ও শ্রমিকদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টি সুরাহা করা হবে।