নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার কাশীপুরের খিলমার্কেট এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সুবর্ণা আক্তার টুম্পা ওরফে বৃষ্টি (১৫) নামে এক কিশোরী নববধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এমরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত সুবর্ণা আক্তার বৃষ্টি কাশীপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকায় সিদ্দিকের মেয়ে। সে একই এলাকার আসাদ মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বি(২২)নামে এক তরুণের স্ত্রী।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে,গত ৫ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সুবর্ণা আক্তার টুম্পা ওরফে বৃষ্টির সঙ্গে গোলাম রাব্বির বিয়ে সম্পন্ন হয়। গোলাম রাব্বি একজন হোসিয়ারি গার্মেন্টস শ্রমিক। নিহত বৃষ্টি, তার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সাথে একসাথে খিলমার্কেট এলাকার হারুন মিয়ার বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় রাব্বি ও তার বাবা আসাদ মিয়া নিজ নিজ কাজে চলে যান। দুপুরের দিকে নিহত বৃষ্টির শাশুড়ি লাভলী বেগম, ননদ আশামনির সন্তানকে আনতে তাদের বাড়ি যায়। এরপর দুপুর ১টার পর তারা এলাকাবাসী কাছে জানতে পারেন বৃষ্টি মারা গেছে।
নিহত বৃষ্টির বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে আমি আমার বোনের জন্য পুরি কিনে ওর বাসায় যাই। গিয়ে দেখি ওর ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। আর ফ্যানের সঙ্গে বৃষ্টির লাশ ঝুলছে। সে সময় বাসায় পরিবারের কেউই সেখানে ছিল না। পরবর্তীতে আমি পরিবারের সকলকে খবর দেই এবং থানায় অবগত করি।’
তিনি আরও বলেন, প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছিল বৃষ্টি। শ্বশুরবাড়িতে কিংবা অন্য কোথাও কোনো ঝামেলা হইছে কিনা সেটা আমরা জানা নেই। আত্মহত্যার কোনো কারণ দেখছি না।
নিহতের স্বামী গোলাম রাব্বি ও শাশুড়ি লাভলী বেগম বলেন, ‘আমাদের পরিবারে কোনো রকম কোন ঝগড়া-বিবাদ ছিলই না। আশেপাশের কারো সঙ্গেও কোনো সমস্যা নাই। আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’
ঘটনাস্থলে তদন্তকারী ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশের সুরতহালের কার্যক্রম পর্যালচনা চলছে। নিহতের বাবা-মা নরসিংদী থেকে আসলে, পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান একর্মকর্তা।