মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স’র কার্যক্রম
29, September, 2020, 2:33:49:PM
দিনাজপুর প্রতিনিধি: মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড সকল কার্যক্রম। দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এর গঠনতন্ত্রের নীতিমালা অনুযায়ী কার্যনির্বহী কমিটির মেয়াদ, গঠন ও নির্বাচন সংক্রান্ত আদেশ নামায় (৫) উপদফা (৪) এ উল্লেখ আছে যে, উল্লেখিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন বোর্ড ও নির্বাচন আপীল বোর্ড গঠন ও নির্বাচন তফসিল নির্ধারিত সময়ে ঘোষণা করা না হলে বা অনুষ্ঠিত নির্বাচন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাতিল করা হইলে সংশ্লিষ্ট-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হোক বা না হউক কার্যরত কমিটির সদস্যবৃন্দ তাঁহাদের মেয়াদোর্ত্তীণ তারিখ থেকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত হবেন।
জানা গেছে, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ-এ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাহিদা হাবিবা স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স প্রাপ্ত সকল এসোসিয়েশন/গ্রুপ/চেম্বার/যৌথ চেম্বার/ ফউন্ডেশনের কার্যনিবার্হী পরিষদের সাধারণ সভা ও নির্বাচন আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই নোটিশে ২, ৩ এবং ৪ নং উল্লেখ্য করে আরও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেমন ৩ নং প্যারায় বলা হয়েছে, মার্চ ২০২০ এর পূর্বেই যে সকল বাণিজ্য সংগঠনের সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিষয়টি নির্ধারিত ছিল ঐ সকল সংগঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ উল্লেখ পূর্বক সময় বৃদ্ধির আবেদন করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চেম্বার সদস্য জানান, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ-এর নির্বাচনী তফসিল মার্চ ২০২০-এর পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছে। আর নির্দেশনা এসেছে ১৫ জুলাই। বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে চেম্বারের সকল কার্যক্রম। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এই লুকোচুরি চলছে। কিন্তু তারা চেম্বারের ক্ষমতা দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে কেন হস্তান্তর করছেন না তা আমার বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে দিনাজপুর চেম্বারের নির্বাচন স্থগিতাদেশ থাকার পরেও সভাপতিকে জোরপূর্বক ক্ষমতা থেকে সরানো হয়, তবে ২০২০ সালের ১৪ জুন মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি কিভাবে রয়েছে? ২০১১ সালে আন্দোলন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য যারা বাধ্য করেছিলেন বর্তমানে তারাই মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটির পদ ধরে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।