মৌলভীবাজারে এসপি’র কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ
10, October, 2020, 6:49:17:PM
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপারের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, মানসিক নির্যাতন ও বেআইনীভাবে দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগ করেছেন আয়ারল্যান্ড প্রবাসী এক স্ত্রী। নিরুপায় স্ত্রী প্রতিকার চেয়ে স্বজনদের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, জেলার রাজনগর উপজেলার বালিসহস্র গ্রামের আয়ারল্যান্ড প্রবাসী প্রবাসী নাজমিন বেগমের ২০১৭ সালে পার্শ্ববর্তী চকিরাঐ (সুরুপুরা) গ্রামের আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বামীর পক্ষের আবদার অনুযায়ী উপহার স্বরুপ প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল প্রদান করা হয়। বিয়ের পর স্বামী তার কাছে থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা নিয়েছেন। এক পর্র্যায়ে তাকে (স্বামী) আয়ারল্যান্ডে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তাতে রাজি হননি। বরং দেশে ব্যবসা করার জন্য এককালীন ১০ লাখ টাকা চাইলে স্ত্রী নাজমিন বেগমের কাছে দাবি করলে নাজমিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর থেকে স্বামী আব্দুল্লাহ আল নোমান ফোনে স্ত্রী নাজমিন বেগমকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভানুরমহল গ্রামের রজাক মিয়ার কন্যা ইভা বেগমের সাথে গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর ২০২০ইং প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে ২য় বিবাহে আবদ্ধ হয়ে ঘর সংসার শুরু করেন। এরপর থেকে স্বামী আব্দুল্লাহ আল নোমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইভা বেগম ফোনে এবং মেসেজের মাধ্যমে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছেন। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, দেশে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নাজমিন বেগম ও তার বাবার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবেন।
নাজমিন বেগমের অনুমতি ছাড়াই আব্দুল্লাহ বেআইনীভাবে ইভা বেগমের সাথে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হবার মাধ্যমে নাজমিন বেগমের সাথে প্রতারণা করেছেন। তাই, স্বামী আব্দুল্লা আল নোমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইভা বেগমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল্ল আল নোমানের বক্তব্য জানার জন এ প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিন চকিরাঐ (সুরুপুরা) গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়ীতে গেলে তিনি বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আজই বিকালে আপনাদেরকে সব ডকুমেন্টের ফটোকপি প্রদান করবো। আমাকে আয়ারল্যান্ড নেয়ার চুক্তিতে তাকে বিয়ে করেছিলাম। সে আমাকে আয়ারল্যান্ড নেয়নি তাই আমি তাকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি”।