চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : পটিয়ার দক্ষিণ গোবিন্দরখীল এলাকায় ১৩ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রকে ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা কামরুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পটিয়া থানা পুলিশ গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার কামরুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে। তিনি পটিয়া পৌর সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল্লাই মোহম্মদীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। এর আগে গত রোববার রাতে বলাৎকারের ওই ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা নুর মোহাম্মদ বলেন, আমার ছেলে পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছে। রোববার রাত ৮টায় আমার ছেলে পটিয়া রেলস্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে আমির ভান্ডার এলাকায় বাসায় আসার পথে মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম পূর্ব পরিচিতের সূত্রে তাকে বাসায় নিয়ে বলাৎকার করে। পরে তাকে ১০ টাকার পিয়াজু খেতে দিয়ে এ বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে।

তিনি বলেন, ছেলেটি অসুস্থ হওয়ার একদিন পর সোমবার বিকেলে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। তার মা বিষয়টি আমাকে বললে গোবিন্দরখীল এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই শিক্ষকের ভাড়া বাসা খুঁজে বের করি। পরে বাসার রুমের বাইরে তালা লাগিয়ে পুলিশকে খবর দেই। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, আমি এ ধরনের কিছুই করি নাই। এমনিতে ছেলেটাকে আদর করেছি। পরে তাকে পিয়াজু খেতে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, শিশু বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষককে দক্ষিণ গোবিন্দরখীল ভাড়া বাসা থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ