বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে সপরিবারে গণধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। হুমকিদাতা ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ‘হাসান আল মামুন’ নামের আইডি থেকে সোমবার আনুমানিক রাত ১টার দিকে গণধর্ষণের হুমকি প্রদান করে। সে নিজেকে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেছে।
এই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মাগুরা সদর থানায় জিডি করেন।
ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘দেশে একের পর এক সংগঠিত হওয়া ধর্ষণের ঘটনা এবং বিচারহীনতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। এ সকল পোস্টের জেরে ধরে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয় এবং আমাকেসহ আমার মা ও দুই বোনকে বাড়িতে এসে গণধর্ষণ করবে বলে ‘হাসান আল মামুন’ নামের আইডি থেকে হুমকি দেয়া হয়।’
হুমকি প্রদানকারী মামুন দাবি করেন তাদের হাজার হাজার কর্মী বাহিনী রয়েছে এবং আলিফ লায়লার ক্ষতি করতে তাদের ১ সেকেন্ড প্রয়োজন। এ সময় হুমকি প্রদানকারী নিজেকে (মুক্তা ভাইয়ের) মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তার একজনের কর্মী হিসেবে নিজেকে দাবি করেন এবং মেসেজে বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করেন।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা বলেন, ‘রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় অনেকেই আমাকে চেনে, নাম জানে কিন্তু হয়তো তাদের সবাইকে আমি চিনি না। হতে পারে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ নাম ব্যবহার করছে। তবে বিষয়টি জানার পরপরই এই ফেসবুক আইডির বিষয়ে থানায় জিডি করেছি। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি মনে করি ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের হুমকি প্রদান করার ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরণের ঘটনায় যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হোক। এছাড়া বশেমুরবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী হিসেবে চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’