বরগুনা প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়া ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বরগুনা পৌর-শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় সাপ্লাইয়ের পানি সরবারহ বন্ধ রয়েছে। আর এসব কারণে দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী। উপকূলীয় জেলা বরগুনা পৌর-শহরে বেঁড়ি বাঁধের বাহিরে বস্তি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প রয়েছে। এ সব নিন্মাঞ্চল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বস্তি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের নি¤œ আয়ের মানুষেরা নির্ঘুম রাত্রিযাপন ও র্দূভোগে আছেন। বৈরী আবহাওয়ার দু-দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের সহয়তা পাননি ক্ষতিগ্রস্ত পৌর-নাগরিক, বস্তি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষ।
শুক্রবার সকালে বরগুনা পৌর-শহরের বটতলা ইব্রাহিমা মসজিদ, ডিকেপি রোড়, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, কলেজ রোডসহ কয়েকটি এলাকা ভারী বর্ষণে হাটু সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বাসা বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ কেউ বাসা ছেড়ে আতœীয়-স্বজনের দোতালা বাসায় উঠেছেন। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় পৌর-শহরের সোনিয়া সিনেমা হল বস্তি ও আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
বরগুনা পৌর-শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়ক এলাকার ইমাম হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্ত পৌর-নাগরিক, বস্তি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসীরা জানান, সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ার হলেও আমাদের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও আমরা তৃতীয় শ্রেণীর পৌর-নাগরিকদের মর্যদাও পাইনা। দু-দিন পর্যন্ত আমাদের এলাকার বাসাবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর কেউই খবর নেয়নি। কোন ধরনের সরকারি সহয়তাও পাইনি।
পৌর-শহরের বটতলা ইব্রাহিমা মসজিদের মুসল্লীরা বলেন, আমারা জলাবদ্ধতার কারণে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারিনা। আমাদের কষ্ট হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের প্রশ্ন এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ শেষ হবে কবে।
বরগুনা পৌর-শহরের বেড়ি বাঁধের বাহিরে খাকদোন নদী ও ভাড়ানীর খালের তীরে সোনাখালী থেকে ক্রোক সুলিজ ও বস্তি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে এ সব পরিবারের বাসাবাড়ি তলিয়ে যায়। পৌর-এলাকায় আছে কৃষি জমি, মাছ চাষের ঘের, মুরগির এবং দুগ্ধ খামার। ভারী বর্ষণের ফলে পৌর-এলাকায় অনেকের মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ভারী বর্ষণ ও দূর্যোগে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পৌর-নাগরিকগণ। তবে, এসব দেখার যেন কেউই নেই।
এ দিকে জেলা সিপিপি,র উপ-পরিচালক কিশোর কুমার সরকার বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লগুচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি পাত হয়েছে। এর পূর্বে গত ২২ অক্টোবর (৩ থেকে ৪) নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ (২৩ অক্টোবর) তা দূর্বল হয়ে পড়েছে। বাতাসের গতি কমে এসেছে। এটা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অতংক বা দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।