ধামরাই প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে শেষ সময়ে এসে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। তবে দাম বৃদ্ধি হলেও এর সুফল পাচ্ছেন না আলু চাষিরা। মুনাফা চলে যাচ্ছে মহাজন-মজুতদারদের ঘরে। গত মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। আলুর ফলনও হয়েছিল বাম্পার। কিন্তু সে সময় আলুর বাজারে ব্যাপক ধস নামায় আলুচাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। তাদের অনেকটা পানির দামে এসব আলু বিক্রি করে আখের গোছাতে হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে আলুর দাম না বাড়ায় একদিকে চাষিরা বিপাকে অপরদিকে মহাজনরাও চরম হতাশায় পড়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে হিমাগারে আলুগুলো রক্ষিত থাকায় হিমাগার চার্জ ও পরিবহন খরচসহ এই আলুতে খরচ বেশি হওয়ায় মহাজনরা আলু নিয়ে পড়েছিল বিপাকে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে আলুর মূল্য বৃদ্ধিতে ওইসব মহাজনদের চোখে-মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছিল। এতে ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৪৭ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল।বেশি হিমাগার না থাকায় আলুচাষিরা আলু সংরক্ষণে চরম বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকে। এজন্য তাদের অতিরিক্ত পরিবহন খরচ দিয়ে এলাকায় অথবা বাইরে অন্য কোনো এলাকার হিমাগারে এসব আলু সংরক্ষিত করতে হয়। এজন্য তাদের যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই এসব ভোগান্তি এড়াতে অধিকাংশ আলু চাষি শুরুতেই তাদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করে দেন। আর তখন বাজার পতন ঘটায় তাদের এ আলু অনেকটা পানির দামেই বিক্রি করতে হয়। কৃষকরা বলেন, গতবার অনেক জমিতে আমি আলু চাষ করেছিলাম। ফলনও হয়েছিল ভালো। হিমাগারে সংরক্ষিত রাখার মতো সঙ্গতি না থাকায় ওই সময়ই আলুগুলো বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। জয়পুরা বাজারের আলু ব্যবসায়ী কালাম বলেন, হঠাৎ করেই শেষ সময়ে এসে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যে আলু আগে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা মণ আমরা কেনা-বেচা করতাম। গত কয়েকদিন থেকে সেই আলু ৭ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা মণ আমাদের কিনতে হচ্ছে। শেষ সময়ে হলেও আলুর মূল্য বৃদ্ধিতে নতুন করে আলু চাষিদের মনে উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।