নাজিমউদ্দিন রানা: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর উভূতি ও আঁধার মানিক নামক স্থানে অবাদে পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটা স্থাপনের প্রতিযোগিতা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটাগুলোতে বেশীর ভাগ জ্বালানো হচ্ছে নানা প্রজাতির বৃক্ষাধি। যাতে একদিকে কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে অন্যদিকে নিধন হচ্ছে মূল্যবান গাছপালা আর জ্বলছে ফসলীয় জমি। অভিযোগ রয়েছে ইটভাটা মালিক সমিতির যোগসাজসে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোয়াখালী অঞ্চলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে বাংলা ইটভাটা স্থাপনে মালিকদের সহযোগীতা করেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, আঁধার মানিক পূর্ব এলাকায় মেসার্স খোরশেদ এন্ড হুমায়ন ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং এ ফিল্ডে একটি বাংলা চিমনী ইটবাটা, এবং একই এলাকায় আধারমানিক নামক স্থানে একই নামে আরেকটি বাংলা ইট ভাটা মোঃ খোরশেদ আলম এন্ড হুমায়ুন ব্রিকস্ নামের এই দুইটি বাংলা ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একই মালিক পক্ষের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও ওই এলাকায় অবাধে চলছে বিভিন্ন নামের বাংলা ব্রিকস্ ইট ভাটা।
কাঠ পোড়ানোর এসব ইটভাটার মালিকদের সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ কেউ জানান ছাড়পত্র প্রক্রিয়াধীন আছে, আবার কেউ বলেন ছাড়পত্র পেয়েছি। পরিবেশের ক্ষতি বা দূষণ যেন না হয় সে জন্য অধিদপ্তর ছাড়পত্র দেয় ব্রয়লার অথবা জিকজাক ইটভাটা স্থাপনের জন্য। কিন্তু যারা ছাড়পত্র পেয়েছেন বা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন, তারা কিভাবে বাংলা ইটভাটা স্থাপন করেছেন, এসব প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারেননি। তাদের দাবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন এসব ইট ভাটা পরিদর্শন করে যায়, তাতে কোন অসুবিধা হয়না।
যদিও ১৯৯৫ইং সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা আছে, কিন্তু উৎকোচ বিনিময় প্রথা চালু থাকার কারণে এসব আইনের কোন কার্যকারিতা নেই। অথচ এই আইনে পরিবেশ দূষণকারীদের জন্য কারাদন্ড ও অর্থদন্ডেরও বিধান আছে। তাই এলাকাবাসীর দাবী পরিবেশ বিপর্যয় হতে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।