মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ শতাব্দীর ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে হাজির হয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাস। এর লাগাম টানতে লকডাউন চলছে দেশে দেশে। বাংলাদেশও বাদ পড়েনি এর তান্ডব থেকে। করোনা সংক্রমণ, লকডাউন ও কর্মহীনতায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে দেশের নিন্ম আয়ের মানুষগুলো। দৈনিক রোজগার করতে না পেরে দু’বেলা দুমুঠো খাবার গ্রহণে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে তারা। তাই, জীবন বাঁচানোর তাগিদে সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেকেই ঘর থকে বের হয়ে আসছে। একটু সাহায্যের আশায় ছুটে বেড়াচ্ছে দিগ্বিদিক। এ অবস্থায় কর্মহীন অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাস্বেবী সংগঠনগুলোও খাদ্যসামগ্রী বিতরণে কাজ করে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, দূর্ভোগ তত বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় পরিবারের সংখ্যা। দেশের অভাবগ্রস্থ এ বিশাল জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। নিজের স্বার্থের জন্যই তো কেবল জীবন নয়। সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাঝেই রয়েছে জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা। আমারা সমাজবদ্ধ ও সহানুভূতিশীল জীব বলেই আত্নস্বার্থে মগ্ন থাকা আমাদের স্বভাব বিরুদ্ধ। বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রে, পবিত্র কুরআনে, রামায়ণ-মহাভারতে, মহাকাব্য ও পুরাণে জনসেবাই শ্রেষ্ঠ ধর্মের কথা বলা হয়েছে। ইতিহাস থেকে দেখা যায়, যে জাতিতে খাঁটি জনসেবকের সংখ্যা যতবেশি সে জাতির ঐক্য, জাতীয়তাবোধ এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে ততবেশি। তাই, দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যক্তিস্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে জনসেবাই আত্ননিয়োগ করি। কথায় আছে, শুধু ধন নয়, সাহায্য করতে মনের প্রয়োজন। এসব অসহায় মানুষদের চাহিদাও খুব বেশি নয়, মাত্র দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পেলেই এরা খুঁশি। তাই আসুন, সবাই মিলে তাদের পাশে দাঁড়াই। নিজ নিজ স্থান থেকে স্বাধ্য মত সাহায্য করার চেষ্টা করি। অসহায় মানুষদের মুখে ফুটিয়ে তুলি নির্ভরতার হাসি।