হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৮ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবার পর থেকেই এই বন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে এসব মসলা পণ্যের দাম। ঈদে দেশের বাজারে মসলার দাম স্বাভাবিক রাখতে বেশি বেশি আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আমদানি বাড়ায় সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
আর কিছুদিন পর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযাহা। প্রতিবছর এই ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের যেমন চাহিদা বাড়ে। আমদানি বাড়ায় স্থানীয় আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে আমদানিকৃত আদা, রসুন, জিরা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম। এদিকে বাজারে কম দামে কিনতে পারায় খুশি স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের আগে হিলির আড়ৎ ও খুচরা বাজারে প্রতি প্যাকেট জিরা বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকা দরে, এখন তা টাকা কমে প্রতি প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। সাদা এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩২০০ টাকা কেজি দরে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকা দরে। ৩৮০ টাকার দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায় এবং ৮৫০ টাকার লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা সিজার ও লেবু জানান, ঈদের বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। আমদানি বেশি থাকায় এবার সবধরনের মসলার দাম কম। দাম কম থাকায় ক্রেতারা স্বস্তিতে যেমন কিনছে তেমনি বিক্রিও হচ্ছে আমাদের। আশা করি এবার মসলার দাম বাড়বে না। দাম কমার কারনে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা মসলা কিনতে আসছে এবং বিক্রি ভালো হচ্ছে।
কথা হয় বেশ কিছু ক্রেতার সাথে তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কিছুটা আয় কমে গেছে আমাদের।সামনে কোরবানি ঈদ বাজারে মসলা কিনতে আসলাম, দেখি সব মসলার দামই কমছে। এটা আমাদের জন্য খুব ভালো। এরকম কম দাম থাকলে আমরা মসলা কিনতে পারবো।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, যেহেতু এবার করোনা ভাইরাসের কারনে বহির্বিশ্ব থেকে মসলা আমদানি বন্ধ আছে। এসময় যাতে দেশের বাজারে এই পণ্যের সংকট কিংবা দাম না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে হিলি স্থলবন্দররের আমদানিকারকরা বেশি বেশি মসলা ভারত থেকে আমদানি করছে। ঈদের আগে আরো বেশি পরিমান মসলা আমরা আমদানির জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি এবার ঈদ উপলক্ষে মসলা দাম বাড়বে না ক্রেতার নাগালে থাকবে।
হিলি কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে সম্প্রতি কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলা পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো ২২ কর্ম দিবসে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৬শ ৯২ মেট্রিক টন মসলা আমদানি করা হয়েছে। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।