দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের মাস জুলাই
3, August, 2020, 9:18:6:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: করোনাভাইরাস মহামারীতে পুরো দুনিয়া যখন বিপর্যস্ত। এমনি সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাস হিসেবে জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ২৫৯ কোটি যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে তিন হাজার ৭২৯ কোটি ডলার দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশি টাকায় যা তিন লাখ ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরআগে, গত জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার পেছনে সরকারের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাসীরা সবসময়ই বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। দুই ঈদে সঙ্গত কারণেই এর প্রবাহটা বেশি থাকে। তবে, এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কম হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তার উল্টো অর্থাৎ রেডর্ক পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার পেছলে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপকে চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি দেশের ইতিহাসেব সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণের মাস হিসেবে জুলাই মাস রেকর্ড থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। একক মাস হিসেবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরেরই জুনে। ওই মাসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য আরও বলছে, গেল অর্থবছরে (২০১৯-২০) মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ আসেনি।
দেশের প্রতি প্রবাসীদের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ রয়েছে। তাদের টাকা প্রেরণে যাবতীয় বাধা দূর করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের উপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে যার ফলে গতবছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।