লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘুম হল দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমের সময় সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করে পরবর্তী দিনের কাজের জন্য আমাদের তৈরি করে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরী।
একদল বিজ্ঞানী ঘুম নিয়ে গবেষণা করে বলেছেন, প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন পর্যাপ্ত সুস্থ স্বাভাবিক ও আরামদায়ক ঘুম না হলে সেটা মনের উপর যেমন খারাপ প্রভাব ফেলে তেমন এর খারাপ লক্ষ্য আমাদের দৈনন্দিন কাজেও দেখা যায়।
সম্প্রতি লুকে কোটিনহো নামের একজন লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ঘুম আমাদের জীবনে স্বাভাবিক একটি বিষয়। কাজকর্মের অবসরে ঘুম আসা বা ঝিমুনি ধরাও মস্তিস্কের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া। ফলে শরীর এবং মনের প্রশান্তির জন্য সুস্থ সুন্দর ঘুম একজন মানুষের অবশ্যই জরুরি।
লুকে কোটিনহো আরও জানিয়েছেন, প্রতিদিন ঠিকমত ঘুম না হলে আমাদের শরীরে তার কুপ্রভাব পড়তে বাধ্য। আর দীর্ঘদিন এইরকম চলতে থাকলে শরীরে ক্লান্তিভাবের উদয় হয়। মানসিক শান্তি মেলে না। রাতে ঠিকমত না ঘুম হওয়ার কারণে, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব আসতে থাকে। কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে যেতে থাকে।
রাতে আরামদায়ক এবং শান্তিপূর্ণ ঘুম যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য ভালো। কারণ, গবেষণা বলছে, রাতে ভালো ঘুম হলে পরদিন সবরকম কাজেই আমাদের শরীর-মন সায় দেয়।
আমাদের দেহে নানা রোগের উৎসের মূলে রয়েছে ঘুম। কারণ, নিয়মিত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম না-হলে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরের উপর। দীর্ঘ সময় বা অনেকদিন কোনো মানুষের ভালো ঘুম না হয় তাহলে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়াও স্নায়ুর রোগ থেকে শুরু করে অকালে দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের মতোও রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্যক্তির অপর্যাপ্ত ঘুম হলে সেটা তার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া ঘুম ভালো না হলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক সহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একটি ভালো ঘুম এসব অসুখ থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখে।