বিনোদন প্রতিবেদক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘বিউটি কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এক দশকের ক্যারিয়ারে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপার হিট ছবি। আর তাই তো দর্শকদের মনের রানী হয়ে আছেন তিনি। ব্যক্তিগত নানা ঝামেলার কারণে বেশ কিছু দিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন অপু । দেখা যায়নি নতুন কোন চলচ্চিত্রে। তবে বিরতি কাটিয়ে ‘আশীর্বাদ’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন অপু বিশ্বাস।
‘আশীর্বাদ’ সিনেমা নির্মাণ করতে চলেছেন প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। সিনেমাটির জন্য তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদান পেয়েছেন। এর পর থেকেই প্রধান নারী চরিত্র সুবর্ণার জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন জেনিফার। অবশেষে রোববার অপু বিশ্বাসকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে চূড়ান্ত ভাবে ‘আশীর্বাদ’ সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করলেন এই সিনেমার প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। হোটেল সোনারগাঁওয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
সিনেমাটি প্রযোজনার পাশাপাশি এই সিনেমার কাহিনী ও চিত্রনাট্যের কাজও করেছেন জেনিফার ফেরদৌস। সিনেমাটি নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের হাতে। সিনেমার সংলাপ লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু।
অপুকে নায়িকা নির্বাচন করা প্রসঙ্গে জেনিফার বলেন, আমার সিনেমাটির গল্প মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। মুক্তিযুদ্ধের আগের উত্তাল রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে সুবর্ণা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর চরিত্র। সেই চরিত্রে অপুকেই আমার মানানসই মনে হয়েছে। তাই নায়িকা হিসেবে তাকেই চুক্তিবদ্ধ করলাম। বাকি অভিনয়শিল্পীদের নামও খুব শিগগির ঘোষণা করা হবে।
সিনেমার শুটিং শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। ইচ্ছে আছে চলতি মাসের শেষের দিকে শুটিং শুরু করার। সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং।
নতুন সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, অনেক ভালো লাগছে। লকডাউনের সময় আমরা নিরাপদে ছিলাম ভালো ছিলাম। কিন্তু আবারও কাজে ফিরতে পারবো সেটা ভাবিনি। নতুন করে কাজে ফিরতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রযোজক বলতে সব সময় মনে করি একজন পুরুষকে। কিন্তু আমার সিনেমার প্রযোজক কোনো পুরুষ নয়, একজন নারী। জেনিফার ফেরদৌস। এটা খুব ভালো লাগছে নারীরা সিনেমায় প্রযোজনা করছেন। প্রযোজক যে পুরুষ হতে হবে এই ধারাটা পরিবর্তন এসেছে সেটাও ভালো লাগছে। আশা করি, ভক্ত এবং দর্শকরা আগের মতোই আমার পাশে থাকবেন। এও বিশ্বাস করি, জেনিফার আপুর ‘আশীর্বাদ’ একটি অসাধারণ চলচ্চিত্র হতে চলেছে।