ক্রীড়া ডেস্ক : উয়েফা ইউরোপা লিগে রীতিমতো উড়তে থাকা ইন্টার মিলান ফাইনালে পৌঁছে গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে সেমিফাইনালে শাখতার দোনেৎস্ককে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ইতালিয়ান ক্লাবটি।
জার্মান ক্লাব ডুসেলডর্ফের মাঠে শাখতারের জালে দুইটি করে গোল করেছেন মার্টিনেজ ও লুকাকু। অন্য গোলটি এসেছে দানিলো দ্রাম্বোসোর পা থেকে। আগামী শুক্রবার দিবাগত রাতে ইউরোপা লিগের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে ইন্টার।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় ইন্টার। শাখতার গোলরক্ষকের ভুল পাসে বল পেয়ে যান নিকোলো বারেল্লা। খানিকটা এগিয়ে ডান দিক থেকে তার নেওয়া দারুণ ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মার্টিনেজ।
বিরতির আগে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি শাখতার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্কোস আন্তোনিওর জোরালো শট উড়ে যায় ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজের দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন মার্টিনেজ। শাখতারের রক্ষণের দুর্বলতায় বল পেয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে লাফিয়ে উঠে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।
৬৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দানিলো। কর্নার থেকে আসা বলে হেডে জালে পাঠান এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডার। ১০ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করার পাশাপাশি ফাইনালের টিকেট একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন মার্টিনেজ। ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে দারুণ শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান লুকাকু। মার্টিনেজের পাস থেকে গোলটি করেন এই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান তিনি। প্রায় মাঝমাঠের কাছে বল পেয়ে এগিয়ে গিয়ে একক নৈপুণ্যে গোলটি করেন ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
ফাইনালে সেভিয়াকে হারাতে পারলে ১০ বছর পর বড় কোনো শিরোপা জিতবে ইন্টার। সবশেষ ২০১০ সালে কোচ হোসে মরিনহোর তত্ত্বাবধানে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল ক্লাবটি।