আমার উদ্যমের মূল প্রেরণাশক্তি শিক্ষার্থীরা: ইবি উপাচার্য
19, August, 2020, 9:18:19:PM
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমার উদ্যমের মুল প্রেরণাশক্তি আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা। প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের আমি স্বপ্ন দেখা শেখানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছি এবং তারা অনেকখানি এগিয়েছে। আমাদের আনন্দ এটাই যে, আমরা একটি ট্রেনকে লাইনে তুলে দিতে পেরেছি।
বুধবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ ‘মহানক্ষত্র মুজিব’ ও ‘ইম্মর্টাল মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি অারও বলেন, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ব্যর্থ স্বাধীনতা সংগ্রামে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সর্বৈব সফল স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে গেছেন। সেই কীর্তিমান মহাপুরুষকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরে চর্চার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে ‘শ্বাশত মুজিব’ ও ‘মুক্তির আহবান’ নামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ‘মহানক্ষত্র মুজিব’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা। অনুষ্ঠানের শুরুতো স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস. এম. আব্দুল লতিফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) ড. নওয়াব আলী খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থ দুটিতে বিখ্যাত লেখকদের লেখা স্থান পেয়েছে। ‘মহানক্ষত্র মুজিব’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদনা করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. নওয়াব আলী খান।
ইংরেজি ‘ইম্মর্টাল মুজিব’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদনা করেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. আব্দুল লতিফ। দুটি স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশনায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী।