ক্রীড়া ডেস্ক : পায়ের জাদু দেখাতে পারেননি দুই বড় ভরসা নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেমিফাইনালে জয়ের নায়ক ডি মারিয়াও নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে তিনজনই মিস করেছেন গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গিয়েও ইতিহাস গড়া হলো না পিএসজির।
লিসবনে রোববার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ নিশ্চিত করেছে শিরোপা। একমাত্র গোলটি করেছেন বায়ার্নের ফ্রান্স উইঙ্গার কিংসে কোম্যান। তার ৫৯ মিনিটের গোলে ষষ্ঠ ইউরোপ সেরার শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ শিরোপা বায়ার্ন মিউনিখ জিতেছিল ২০১৩ সালে। এরপর চার-চারবার সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালে যেতে পারেনি জার্মানির ক্লাবটি। ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেল বাভারিয়ানরা। বুন্ডেসলিগা ও জার্মান কাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাও ঘরে তুলেছে দলটি। প্রথমবার ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জিতেছিল তারা।
অন্যদিকে পিএসজির সামনে ছিল প্রথম শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল নেইমারের সামনে। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে দলটিকে।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোল করা সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তার নেওয়া শট বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের পায়ে লেগে ফেরে। ২২ মিনিটে বড় সুযোগ আসে বায়ার্নের রবার্ত লেভানডোফস্কির সামনে। তার নেওয়া শট পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাস ধরতে পারেননি। নিশ্চিত গোল হতে পারতো। কিন্তু লেভানডোফস্কির নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
২৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু মিস করেন এই আর্জেন্টাইন। তার নেওয়া শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনেটে আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন লেভানডোফোস্কি । এ সময় তার নেওয়া হেড পাঞ্চ করে ফেরান নাভাস। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডি বক্সের মধ্যে গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি এমবাপ্পে। সরাসরি মেরে দেন নয়্যারের পায়ে। তাতে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঝমাঠের বাইলাইনে নেইমারকে বায়ার্নের জিনাব্রি অহেতুক ফাউল করলে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জিনাব্রি ও পিএসজির লেয়ান্দ্রো পারেদেসকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
এরপর ৫৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। জসুয়া কিমিচের ক্রসে লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন কোম্যান। ইউরোপের ক্লাব সেরার মঞ্চে এটি জার্মান চ্যাম্পিয়নদের ৫০০তম গোল। তাদের আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ তৈরি করেছিলেন কোম্যান। তবে তার ভলি রুখে দেন ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। ৬৯ মিনিটে পিএসজির মার্কুইনহোস গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনিও ম্যানুয়াল নয়্যারের পায়ে মেরে দেন। তাতে সমতা ফেরানো হয়নি ফঁরাসি ক্লাবটির।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপ্পে ও নেইমার। কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে নেইমার বলে পা লাগাতে পারলেও গোল হতে পারতো। কিন্তু ভাগ্যদ্বেবী মুখ তুলে তাকাননি। ফলে সমতা ফেরানোও হয়নি। হয়নি প্রথমবার ফাইনালে এসে শিরোপা জয়।