স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই। তিনি আজ বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে এই অভিনেতা স্ত্রী ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী জানান, গতকাল তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া হওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপর ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থান তিনি মারা যান। আমার অনেক নাটকেই এই গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। এমন দুঃসংবাদ মেনে নিতে পারছি না।
বাংলা নাটক ও সিনেমাতে ফিরোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তার শুরুটা হয়েছিল মঞ্চনাটক দিয়ে। নাট্যদল ‘থিয়েটার’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। কাজ করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, কিংলিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ মঞ্চনাটকে।
কে এস ফিরোজ টেলিভিশনে প্রথম অভিনয় করেন ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম।
কে এস ফিরোজের জন্ম হয়েছিল বরিশালে। এই অভিনেতা ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তেও তিনি অভিনয় করেন।