ক্রীড়া ডেস্ক : পায়ের ইনফেকশনের কারণে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় মাঠে নেমে আলো ছড়ালেন। দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে দেশের হয়ে গোলের শতক ছোঁয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে করলেন আরেকটি গোল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এমন পারফারম্যান্সে ভর করে উয়েফা নেশন্স লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল পর্তুগাল। প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ের পর গতকাল রাতে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল।
টানা দুই জয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার পথে ভালোভাবেই এগুচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপে ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া ও সুইডেনের মতো দল থাকায় আপাতদৃষ্টিতে এটিই টুর্নামেন্টের ডেথ গ্রুপ। এই গ্রুপে খেলেই দুই ম্যাচে মোট ৬ গোল করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা।
ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন রোনালদো। ইরানের আলী দাইয়ির সর্বোচ্চ ১০৯ গোলের রেকর্ড ছুঁতে রোনালদোর দরকার আর মাত্র ৮ গোল। গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করতে রোনালদো খেললেন ১৬৫ ম্যাচ। আলি দাইয়ি ১০৯ গোল করেছিলেন ১৪৯ ম্যাচে। এখন দাইয়ির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছোঁয়াটা রোনালদোর জন্য সময়ের ব্যাপারই মাত্র।
প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে রোনালদোর মতোই উজ্জ্বল ছিল পুরো পর্তুগাল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত পর্তুগিজদের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যতিব্যস্ত ছিল সুইডেনের রক্ষণভাগ। ব্রুনো ফার্নান্দেস, হোয়াও ফেলিক্স, বার্নার্দো সিলভারা কিছু সুযোগ হাতছাড়া না করলে অন্তত প্রথম ম্যাচের মতো এক হালি গোল দিতে পারত পর্তুগাল।
আক্রমণের পসরা সাজিয়েও যখন গোলের দেখা পাচ্ছিল না পর্তুগাল, তখন যেন তাদের উদ্ধারকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন সুইডিশ মিডফিল্ডার গুস্তাভ বেনসন। ম্যাচের ৪৪ মিনিটের সময় ডি-বক্সের বাইরেই পেছন থেকে তিনি ফাউল করেন হোয়াও মৌতিনহোকে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে, ফ্রি-কিক পায় পর্তুগাল।
লক্ষ্য থেকে প্রায় ২৫ গজ দূরে পাওয়া এই ফ্রি-কিকটিকেই নিজের সেঞ্চুরির যথাযথ সুযোগ হিসেবে আকড়ে ধরেন রোনালদো। রক্ষণ-প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাঁকানো ফ্রি-কিকটি সোজা জড়িয়ে যায় জালে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর শততম গোল।
এক গোল করেই দমে যাননি রোনালদো। তার মধ্যে যে গোলের ক্ষুধা এখনও আগের মতোই, সেটি প্রমাণ করেছেন দ্বিতীয়ার্ধেও। যথারীতি এই অর্ধেও গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন অন্যান্যরা। তবে ৭২ মিনিটের সময় ডি-বক্সের মুখ থেকে কোনাকুনি শটে ম্যাচের ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। শেষ দিকে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড ফেলিক্স, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।