ক্রীড়া ডেস্ক : করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে ফিরলেন নেইমার-ডি মারিয়া। কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি পিএসজির। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে রোববার রাতে ১-০ গোলে জিতেছে মার্সেই। ২০১১ সালের নভেম্বরের পর এটাই পিএসজির বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়। তবে জয় পরাজয়ের চেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, পুরো ম্যাচে ১২ হলুদ কার্ড ৫ লাল কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। এরমধ্যে তিনজন পিএসজির আর দু’জন মার্সেইয়ের।
ঘটনাবহুল ম্যাচের ৩১তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন মার্সেই ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান থাভিন। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করা পিএসজি পায় টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ।
পার্ক দেস প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাদানুবাদ চলছিল। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে পিএসজি তারকা নেইমারকে ডি বক্সের বাইরে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন মার্শেই ডিফেন্ডার হিরোকি সাকাই। এর চার মিনিট পরই মার্সেইর স্ট্রাইকার দিমিত্রি পায়েটের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন নেইমার। রেফারি দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান।
ম্যাচের ১২ তম মিনিটে মার্শেইর আমাভিকে ট্যাকল করায় হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজি ডিফেন্ডার আলেজান্দ্রো ফ্লোরেনজি। পরে ৩৮ মিনিটে আবারও নেইমারের ওপর কড়া ট্যাকল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন মার্সেই মিডফিল্ডার পেপ গাই।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে পঞ্চম ও সপ্তম মিনিটের মধ্যে হলুদ কার্ড দেখেন মার্সেই ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেজ এবং পিএসজি ডিফেন্ডার হুয়ান বার্নাট ভেলাসকো। নয় মিনিট পর মাঝ মাঠে প্রতিপক্ষে জার্সি টেনে ধরে হলুদ কার্ড দেখেন মার্সেই স্ট্রাইকার ম্যাক্সিম লোপেজ।
৭১ মিনিটে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজানোয় লাথি মেরে বল বাইরে পাঠিয়ে দেয়ায় হলুদ কার্ড দেখেন মার্সেই স্ট্রাইকার দারিও বেনদেত্তো। এক মিনিট পর পায়েটকে পেছন থেকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন পিএসজি মিডফিল্ডার লেওনার্দো পারেদেস।
এর দুই মিনিট পর ফের পায়েটকে ফাউল করেন পিএসজির আরেক ফরোয়ার্ড ডি মারিয়া। তাকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। শেষ দিকে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মার্সেই মিডফিল্ডার কেভিন স্ট্রুটম্যান দেখেন ম্যাচের শেষ হলুদ কার্ড।
এরপরই ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। একে অপরকে লাথি দিতেও দেখা যায়। এই ঘটনায় প্রথমে লাল কার্ড দেখেন পিএসজির লেভিন কুরজাওয়া ও লিয়ান্দ্রো দানিয়েল পারেদেস এবং মার্সেইয়ের জর্ডান আমাভি ও দারিও বেনেদেত্তো। আর সবশেষ ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নেইমার।