ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আনসু ফাতি। একটি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। অপর গোলটি আত্মঘাতী। এই জয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হলো রোনাল্ড কোম্যান অধ্যায়।
নতুন কোচ কোম্যানের অধীনে প্রাক-মৌসুম ম্যাচে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলছিল বার্সেলোনা। এবার মৌসুম শুরুর প্রথম ম্যাচে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মেসিকে মূল ফরোয়ার্ড হিসেবে রেখে ৪-২-৩-১ ফরমেশনেই দল সাজিয়েছেন কোম্যান। যার ফলও পেয়েছেন পুরোপুরি। মাঝমাঠ প্রায় পুরোটাই ছিল মেসিদের দখলে। বিপরীতে স্বাগতিকদের জায়গা না দেওয়ার পণ করে নেমেছিল ভিয়ারিয়াল।
ম্যাচ শুরুর ১৫তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে কাট ব্যাক করেন জর্দি আলবা। বল ধরে নিখুঁত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফাতি। এর চার মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফাতি। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কৌতিনহোর বাড়ানো বল ধরে দারুণ এক কোণাকোণি শটে বল জালে জড়ান বার্সার নতুন নায়ক।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে তৃতীয় গোল পেয়েই গিয়েছিল বার্সা। গোলবারের খুব কাছে থেকে জর্ডি আলবা শট নিলেও সেটি প্রতিহত করে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনহো।
৩৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সা। সফল স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। ডি-বক্সের মধ্যে আনসু ফাতিকে ফাউল করেছিলেন মারিও গ্যাসপার। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে বার্সা। সের্জিও বুসকেতসকে উদ্দেশ্য করে মেসির বাড়ানো বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পিউ তোরেস।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেননি মেসি-ফাতিরা। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আসেনিও।
৮৬তম মিনিটে ডি ইয়ংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় ফ্রান্সিস্কো ত্রিনকাও। এবারও ঠেকিয়ে দেন ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক আসেনিও। ভিয়ারিয়ালের এক খেলোয়াড়ের পা ঘুরে ফিরতি বল পেয়ে যান মেসি। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো এক শট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবারও দক্ষতার সঙ্গে তা ঠেকিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির বার্সেলোনা।