স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার শক্তির বন্দনা আর অসুর বধের প্রত্যয়ে আজ শানিবার অতিবাহিত হচ্ছে মহাঅষ্টমী।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ অন্যান্য স্থানে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। আজ পূজা শেষে ভক্তরা বাসায় বসেই অঞ্জলি দেবেন।
আজ সকাল ৫টা ১৬ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পূজা প্রশস্তা ও মহাঅষ্টমীর ব্রতোবাস শুরু হয়। এরপর সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট থেকে ৭টা ২৩ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেসবুক পেজ থেকে পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাড়িতে বসেই এবার ভক্তরা মায়ের চরণে অঞ্জলি দেবেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এ বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গাপূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ মহাঅষ্টমী পূজা, রোববার সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে মহানবমী পূজা এবং সোমবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এবার দেবী এসেছেন দোলায়, যাবেন হাতিতে চড়ে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ বছর সারা দেশে ৩০ হাজার ২২৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত বছর সারা দেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি। গত বছরের তুলনায় এবার এক হাজার ১৭৫টি মণ্ডপে পূজা কম হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৩টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৩৭টি। আর ঢাকা জেলায় পূজা হচ্ছে ৭৪০টি।