বছরব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বিএনপি
22, November, 2020, 2:52:51:PM
স্টাফ রিপোর্টার : ২০২১ সালে বছরব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবে দলটি।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এসব কথা জানান।
মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি কেবল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দলই নয়, রণাঙ্গনের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধাদেরও দল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বিএনপি গণতন্ত্র, জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধের দল। তাই যথাযথ মর্যাদায় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অতীব তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রের মালিক হয়েছি। হয়তো আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান। কিন্তু অপ্রাপ্তি যাই থাকুক, স্বাধীনতা আমাদের জীবনের সেরা অর্জন। এই প্রাাপ্তির সঙ্গে আর কোনো অগ্রগতি বা অন্যকিছুর তুলনা চলে না। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে হবে বিপুল উদ্দীপনা ও উৎসাহের সাথে।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিকভাবে বিএনপি যেসব কর্মসূচি নিয়েছে সেগুলো হলো- বিষয়ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা, অংকন প্রতিযোগিতা, চিত্রপ্রদর্শনী, বিষয়ভিত্তিক প্রকাশনা যেমন- গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, বৈদেশিক নীতি, সমাজতন্ত্র থেকে মুক্ত বাজার অর্থনীতি ইত্যাদি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিএনপির ভূমিকা, শহীদ জিয়ার কর্মসূচি ভিত্তিক কর্মশালা, বিএনপির বিভিন্ন শাসনামলের সাফল্য, লিফলেট, পুস্তিকা প্রকাশ, লিফলেট বিতরণ, ডকুমেন্টারি নির্মাণ, নৃত্যনাট্য, পথনাটক, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি, ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী, বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম— বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে বিএনপির ভূমিকা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন, দেশ গঠনে ১৯ দফার ভূমিকা, সেনাবাহিনীকে আধুনিক বাহিনীতে রূপান্তর, শহীদ জিয়ার উন্নয়নের রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা সভা ও প্রকাশনা।
বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে, বছরব্যাপী কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা সভা, দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্পট বা স্থাপনায় সমাবেশ করা, জেলা-উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশে জনসমাবেশ ও র্যালি করা হবে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে অন্য কর্মসূচি সংযোজন অথবা বিয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যেসব বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠন করা হবে তার অন্যতম অর্থ উপকমিটি, প্রচার, প্রকাশনা, ব্যবস্থাপনা, সাজ-সজ্জা, দপ্তর, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া উপকমিটি। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলেও জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।