২০২২ সালের মধ্যে এগার কোটি নাগরিকের হাতে আসছে স্মার্টকার্ড
25, November, 2020, 3:08:51:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রায় ১১ কোটি নাগরিককে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র ‘স্মার্ট কার্ড’ দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পাওয়া ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস’ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
আগামী বছরের শুরুতে ১০ বছর বয়সীদেরও নিবন্ধন তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
বর্তমানে প্রায় ১১ কোটি নিবন্ধিত নাগরিকের তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে নিরবচ্ছিন্ন পরিচিতি যাচাই সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭.৭৩ কোটি স্মার্ট কার্ড পারসোনালাইজেশন করে বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫-১৬ বছর বয়সীদের নিবন্ধন তথ্য নেওয়া হয়েছে। তারা ১৮ বছর বা ভোটার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তালিকাভুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
গত বছর ইসি বলেছিল, আগামীতে পর্যায়ক্রমে সব নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দিতে চায় কমিশন। প্রাথমিকভাবে ১০ বছর বয়সী, পরবর্তীতে পাঁচ বছর বয়সীদেরও এনআইডি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন। এজন্য থানা বা উপজেলা পর্যায়ে স্থায়ীভাবে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, নতুন প্রকল্পে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ভোটার নন এমন ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে পেপার লেমেনিটিং কার্ড। এছাড়া জন্মের পরপরই প্রত্যেক শিশুকে জন্মনিবন্ধন নম্বরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নতুন ভোটার নিবন্ধন, স্থানান্তর, কর্তন, তথ্যের ভুল সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং অধিকতর দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নাগরিকদের সেবা দেওয়া হবে। অনূর্ধ্ব ১৮ এবং ১০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের নিবন্ধনের জন্য গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ১০টি অঞ্চলে পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হবে। আইডি কার্ডে ১০ ডিজিট বিশিষ্ট ইউনিক পরিচিতি নম্বর প্রদান করাসহ ইউনিক আইডি নম্বর বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি শিশুর জন্মের পরপরই তাকে এই ১০ ডিজিটের ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুততম সময়ে নিবন্ধন, পরিচয়পত্র দেওয়া এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন করে এনআইডি সরবরাহের প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মহাপরিচালক।