জকিগঞ্জ প্রতিনিধি: শীতের আগমনে গ্রামে ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর উৎসব শুরু হয়। গ্রামে এখনো শীতের পিঠা বানানোর ঐতিহ্য থাকলেও শহরে যান্ত্রিকতার ভিড়ে শীতের পিঠা হারিয়ে গেছেই বলা যায়। অনেকে আবার এসব ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রস্তুত প্রণালীও জানে না।
শীতকাল মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। শীত এলে নগরে ও গ্রামে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। শীত পিঠা গ্রামীণ ঐতিহ্য। শীত মওসুমে গ্রামীণ বধুরা রকমারী পিঠা তৈরি করেন। শীত পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা (ধুপি পিঠা) একটি অন্যতম পিঠা। ভাপা পিঠা আবার হরেক রকম পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। কখনো মিষ্টি ভাপা, কখনো ঝাল ভাপা। খেজুর রস দিয়ে ভাপা পিঠা খেতে বড়ই সুস্বাদু ও মুগ্ধকর।
ঐতিহ্যবাহী ফুল পিঠা, তালের পিঠা, মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, পাটিসাপটা, চিতল পিঠা, চুটকি পিঠা, পাকন পিঠা, গুরা পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, রস পিঠাসহ আরো হরেক রকমের পিঠা রয়েছে। শীতকালেই পিঠার উৎসব শুরু হয়। এ সময় প্রতিটি ঘরে ঘরে নানা রকম পিঠা তৈরি করা হয়। গ্রামের বাড়িতে চলে পিঠার উৎসব। শুরু হয় আত্মীয়-স্বজনের মিলন মেলা।
জকিগঞ্জের গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও চিতল পিঠা। এসব পিঠার সমাদর সবখানেই সমানভাবে রয়েছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে জকিগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামীন বাজারের ফুটপাতে শীত পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে কিছু ভালোমানের এবং কিছু নিম্নমানের রয়েছে। ফুটপাতে পিঠা তৈরির সময় অনেক সময় ধুলোবালি মিশে যায়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।