নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘নবীনগরে আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে বাঁধা, কৌশলে সরকরি সম্পত্তি দখলের পায়তারা’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তৎপর হয়ে ওঠেন স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল। আজ তিনি উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন উপ-ভূমি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা মিলনায়তনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমপি বলেন, পুরো নবীনগরে ৪৮৫টি অসহায় গরীবদের মাথা গোঁজার ঠাঁই প্রধানমন্ত্রী আশ্রায়ন প্রকল্প করে দেয়ার জন্য উপজেলার সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে নিয়ে একটি পরামর্শ সভা করেছি। আর ওই সভায় ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।  প্রকল্পগুলো এই উপজেলায় সুন্দর ও সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিটঘরে দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য্যের সম্পত্তি দাবী করে সেখান থেকে আশ্রায়ন প্রকল্প সরিয়ে নিতে একটি পক্ষ আন্দোলন করছিল এ প্রশ্নে এমপি বলেন, সরানোর কোন প্রশ্নই উঠে না, এ জায়গা অন্যদের দখলে ছিল, তাদের উচ্ছেদ করে আশ্রায়ন প্রকল্প করা হচ্ছে, কাজও প্রায় শেষের দিকে এবং মহেশ বাবুর অন্য জমিও কেউ কেউ লীজ নিয়ে ব্যবহার করছে, এটা ইস্যু বানিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেরা এই জমিটি জবরদখল করার পায়তারা  করছিল। সুতরাং এটাকে ইস্যু বানিয়ে আশ্রয়হীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই বিনষ্ট করবে সেটি হবে না । এই  নিয়েও আমাদের কোন সমস্যা হবে না।

সহকারি কমিশনার(ভূমি)ইকবাল হাসান বলেন, ৩০ বছর আগেই মালিকবিহীন সম্পত্তি মাঠ জরিপে সরকারের ১নং খাস খতিয়ান রেকড ভুক্ত হয়েছে। বেদখলকৃত সরকারের এসব জায়গা উদ্ধার করে ওই জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য সরকারি ঘর হচ্ছে এবং হবে। আশ্রায়ন প্রকল্প আশেপাশে মহেশ বাবুর নামে যত জায়গা আছে খুব দ্রুত প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করা হবে।

উল্লেখ্য স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম ও স্থানীয় আ’লীগ নেতা মোঃ সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার কিছু লোক মানববন্ধন করে নির্মান কাজের বাঁধা প্রদান করেন। বাঁধা প্রদানের ফলে একদিন কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই মহলটি দীর্ঘদিন ধরে উক্ত জায়গা দখল করে নার্সারী ভাড়া দিয়ে, লীজসহ নানাভাবে দখল করে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিল। মহেশ ভট্টাচার্য্যের কোন উত্তরসুরী নেই। জায়গাটি হাতছাড়া হয়ে গেলে স্বার্থের বিঘ্ন ঘটবে বিধায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য্য এর সম্পত্তি বলে দাবি করে সমাজ ও একটি শ্রেণীর সম্প্রদায়ের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে মহলটি।