আমজাদ হোসেন বাচ্চু: বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন শ্রীমঙ্গল শাখার উদ্যোগে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কর্ম বিরতি পালন করছেন শ্রীমঙ্গলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।
আজ (২৯ নভেম্বর) ২০২০ খৃিষ্টাব্দ রবিবার সকাল ১০ টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন শ্রীমঙ্গল শাখার উদ্যোগে ৪র্থ দিনের মতো কর্ম বিরতি পালন করা হয়।
১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, এবং গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লিখিত প্রতিশ্রতি অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১০, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১২ এবং স্বাস্থ্য সহকারী-১৩তম গ্রেড প্রদান করে নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কর্ম বিরতি পালন করা হয়। এ দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছেন বাংলাদেশ হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারি এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ হেলথ্ ইন্সপেক্টর সেক্টোরাল এসোসিয়েশন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর এইচ-আই মাহবুবুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর সহকারী স্বাস্থ্য অফিসার অমলেস তুরকাস্ত, আতাউর রহমান, বিনয়, কাদির, তপর, সাহিন সহ শ্রীমঙ্গল উপজেলার হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর এইচ-আই মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা এবং গত ২০ ফেব্রয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লিখিত প্রতিশ্রতি অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১০, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১২ এবং স্বাস্থ্য সহকারী-১৩তম গ্রেড প্রদান করে নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসন করার কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রতিশ্রুতি আলোর মুখ দেখেনি।
এরই প্রেক্ষিতে, গত ২০ নভেম্বর সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘যদি আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে ২৬ নভেম্বর থেকে আমরা কর্মবিরতিতে যাব। সেই ঘোষণার আলোকেই সারা দেশব্যাপী এই আন্দোলন চলছে, যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’