সুনামগঞ্জের ছাতকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হেলাল হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
4, December, 2020, 4:06:54:PM
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হেলালকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নিজগাও নতুনবস্তি গ্রামের রাস্তায় মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সবর আলীর সন্তান হেলালকে গত ২৬ নভেম্বর রাতে ছনবাড়ী বাজারের জামেয়া কোরানিয়া নোয়াকোট মাদ্রাসার দোতলায় পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে পিটিয়ে নৃশংসয়ভাবে হত্যা করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। হত্যার দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে ছাতক থানা পুলিশ মামলা নেয়নি এবং ঘাতকদের গ্রেফতারে কোন ধরনের তৎপরতা দেখায়নি। হেলাল হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা কয়েছ, মুখদ্দছ আলী, তাজুল ইসলাম ও নিহত হেলালের বড় ভাই জমির উদ্দিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও তরুণরা।
নিহত হেলালের বড় ভাই জমির উদ্দিন জানান, গত ২৬ নভেম্বর রাতে ছোটভাই হেলালকে খুঁজে না পেয়ে আশপাশ দৌড়াতে থাকেন এবং কোরানিয়া মাদ্রাসার দোতলায় হেলালের চিৎকার শুনে দৌড়াইয়া দোতলায় উঠার সময় কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী নামতে থাকে এবং আমি উপরে উঠে আমার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্তায় দেখতে পাই। ভাইয়ের মুখ, নাক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখে চাচাত ভাই কাউসার আহমদকে সাথে নিয়ে ছনবাড়ী বাজারের মছব্বির ডাক্তারের ফার্মেসী নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে ছাতক থানা পুলিশকে জানালে ছাতক থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার ভাইয়ের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আমার ভাই হেলাল হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ আমলে নেয়নি এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেনি। নতুন বস্তি গ্রামের লুৎফুর ও সিরাজদের সাথে আমাদের রাস্তা নিয়ে বিরোধ আছে। এর আগে আমার আরেক ভাই নুর আহমদ ও হেলালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আপোষে নিস্পত্তি করেছিলেন কিন্তু তারা সর্বদায় তৎপর ছিল আমাদের খুন জখম করার জন্য। আমি ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, লাশের গায়ে কোন চিহ্ন না থাকায় ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। হত্যা হলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।