স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: ব্যাংকের পর এবার বিমাখাতেও জাতীয় পরিচয়পত্র এবং কেওয়াইস ফরম পূরণের বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। কালো টাকার বিনিয়োগ বন্ধ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে ৭৬টি বিমা কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশন ও জীবন বীমা করপোরেশন নামে দুটি সরকারি বিমা কোম্পানি রয়েছে।
বিমাখাতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থের বিনিয়োগ বন্ধে বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। একই সঙ্গে ব্যাংকের মতো আমানতকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
প্রয়োজনীয় কাগজ হিসেবে গ্রাহক পরিচিতির জন্য নো ইউর কাস্টমার (কেওয়াসি) ফরম পূরণ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) এবং আমানত বা বিনিয়োগের উৎস সর্ম্পকে প্রমাণের দলিলাদি।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইআরডিএ) কাছে সম্প্রতি একটি চিঠি পাঠিয়ে বিমাকারীর কাছ থেকে উল্লেখিত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং খাতের মতো বিমা খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ জমা-বিনিয়োগ করছে। কিন্তু কেওয়াসি ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং অর্থৈর উৎস সর্ম্পকে কোনো তথ্য নেই। এর ফলে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এর জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশন কেওয়াইসি ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন এবং অর্থের উৎস সর্ম্পকিত নথি সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে।