বাংলাদেশের দুই হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো ফেসবুক
11, December, 2020, 4:09:1:PM
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দু’টি হ্যাকার গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার মত কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল গ্রুপগুলো।
ফেসবুক জানায়, বাংলাদেশের দু’টি গ্রুপ অন্য ব্যক্তিদের আইডি এবং পেইজের অবৈধ দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল। এর জন্য তারা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত আইডি ও পেইজ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ‘রিপোর্ট’ করে যাচ্ছিল। তবে ভিয়েতনামের গ্রুপটির সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রুপ দু’টির যোগসাজশ পাওয়া যায়নি।
হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ফেসবুক যে দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সেই দুই গ্রুপ হলো- ডন’স টিম (ডিফেন্স অব নেশন নামেও পরিচিত) ও ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন (ক্র্যাফ)। বাংলাদেশের এ গ্রুপ দু’টি আমাদের কমিউনিটি নীতিমালা ভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল। ডনস এবং ক্র্যাফ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন আইডি এবং পেইজ নানান অজুহাতে রিপোর্ট করতে থাকে। আইডি নিষ্ক্রিয় করার পর সেসব আইডি ও পেইজের দখল নিতে কাজ করতো এই গ্রুপ দু’টি।
ফেসবুক আরও জানায়, এই ধরনের কাজে গ্রুপ দু’টি সফলও হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বলছে, তারা এ ধরনের কিছু ব্যক্তির আইডি ও পেইজ হ্যাক করেছে এবং সেগুলোর ব্যবহারও করেছে। একাউন্টের দখল নিতে একাউন্টের বৈধ ব্যবহারকারীর ইমেইল এবং ডিভাইস ব্যবহার করেছে হ্যাকাররা।
বাংলাদেশ সহ ভিয়েতনামের এ গ্রুপগুলো এরই মধ্যে মুছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইডি ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিজেদের নিরাপত্তায় আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিয়েতনামে যে গ্রুপটির বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের নাম এপিটি৩২। তারা মূলত দেশটির মানবাধিকার কর্মী, লাওস, ক্যাম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং আইটি, হসপিটালিটি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, মোবাইল সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিশানা করে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
এ কাজে তারা অধিকারকর্মী বা ব্যবসায়ীর ভুয়া পরিচয়ে খোলা কিছু অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত, আবার কখনও রোমান্টিক প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করত। যাদের তারা টার্গেট করত, তাদের বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য প্রলুব্ধ করা হত, যেগুলো শেষ পর্যন্ত তাদের ডিভাইসে নজরদারির কাজে লাগানো হত।