২৪ ডিসেম্বর (বৃহস্প্রতিবার) রাতে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফাইনালিস্ট দলগুলো ৬ মিনিটে ‘ফুড ফর গুড’ সম্পর্কিত তাদের বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করে। এবং পরবর্তীতে বিচারকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪২ টি দল আইডিয়া সাবমিশন পর্বে অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারী দলগুলো ১৫ টি স্লাইডের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব আইডিয়া সাবমিট করে। এখান থেকে ৬ টি দল ফাইনাল রাউন্ডের জন্য চূড়ান্ত হয়।
৬ টি দলের মধ্যে মধ্যে বিজয়ী হয়েছে টিম ‘ফুটাসটু স্কোয়ার’। এছাড়া, ১ম রানার্স আপ ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে টিম ‘রুফকেট’ ও টিম ‘এগসিলেন্ট কোয়ার্টেট’ (সায়েদ মহিউদ্দিন আহমেদ, তামান্না চৌধুরী দিবা, কানিজ ফাতেমা সুমি, তালাল তাসনিম প্রিয়ম)।
ফাইনাল রাউন্ডের বিচারক ছিলেন আরএসপিএলের এইচ আর মানেজার কাইমুল ইসলাম সোহেল, টেট্রার কো-ফাউন্ডার এন্ড চিফ অফারেশন অফিসার মুবাশ্বির তাহমিদ, টারটেল ভেনচারের ফাউন্ডার ও সিইও সারাবান তাহুরা তুরিন ও ‘ইডিওএমও’র ফাউন্ডার আলিসা জান্নাতুল তাজরিন।
প্রতিযোগিতাটির বিষয়ে হাল্ট প্রাইজের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাস ডিরেক্টর মোঃ জহির রায়হান বলেন, কুবিতে সফলভাবে হাল্ট প্রাইজের মতো এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম আয়োজন করতে পেরে একইসাথে আনন্দিত ও উৎসাহিত ৷ এবারের আয়োজনে আমাদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিলো অভাবনীয়, যা আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় আরো এমন ইভেন্ট আয়োজন করার৷ আশাকরি কুবিয়ানদের নিত্য নতুন ধারণার মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজ হলো শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা। যা জাতিসংঘ, ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভস (আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর সংস্থা) এবং হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল এর যৌথ আয়োজনে বিশ্বের ১০০ এর অধিক দেশে আয়োজিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ীদের ১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা) পুরস্কার প্রদান করা হয়।