সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ পৌর শহরে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে নিজাম উদ্দিন(৩৫) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। আহত নিজাম উদ্দিন শহরের দক্ষিণ আরপিন নগর এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে। হত্যার উদ্দেশ্যে সোহেল মিয়া এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন নিজাম উদ্দিন।
শুক্রবার মাগরিবের নামাজে যাওয়ার প্রাক্কালে নিজাম উদ্দিনের বাসার সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত নিজাম উদ্দিন জানান, জায়গা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভুমিখেকো সুরুজ মিয়ার ছেলে সোহেল আমার বাম বাহুর নীচে, তলপেটে ও কানে পর পর তিনটি ঘা মেরে গুরতর জখম করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সূত্র জানায়, সোহেল মিয়ার সাথে নিজাম উদ্দিনের বাড়ীর জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে নিজাম উদ্দিন মাগরিবের নামাজে যাওয়ার পথে রাস্তায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরতর জখম করে। আহত নিজাম উদ্দিনের ছোট ভাই সুজন মিয়া জানান, আমাদের মৌরসী প্রায় চার শতক জমির মধ্যে প্রায় দেড় শতক জমি সন্ত্রাসী সোহেল মিয়া জোরা করে দখলে রেখেছে। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। গত কয়েকদিন পূর্বে সোহেল মিয়ার সাথে আমার ভাই নিজামের কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তারই জের ধরে ভাইকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে দারালো কিরিছ দিয়ে ফুসফুসের উপর, কানে ও তলপেটে কুপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। অল্পের জন্য ভাই প্রাণে বেচেঁ গেল। এখনও আশঙ্কা রয়েছে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।
সদর থানার এসআই জসিম উদ্দিন গুরুতর আহত নিজাম উদ্দিনকে দেখতে যান এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, নিজাম উদ্দিনের স্পর্শকাতর স্থানে তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর একটু বেশী হলে সে মারা যেত। ক্ষতস্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। কনসালটেন্ট স্যার এসে দেখবেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আঘাতকারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে।