স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : চালের বাজারে চালকল মালিকদের একচেটিয়া রাজত্ব চলছে। এদের কারসাজিতে নিয়ন্ত্রণে আসছে না চালের বাজার। সরকারের একাধিক অনুরোধ, হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে মিল মালিকরা বেপরোয়া ভাবে চালের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এমন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানি করা ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ১৯ ডিসেম্বর বন্দরে পৌঁছেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আরও এক লাখ টন চাল একই পদ্ধতিতে ভারত থেকে আসবে।
এছাড়া বেসরকারিভাবে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে আরও ১ লাখ ৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ওই অনুমতির চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানাবিশিষ্ট বাসমতি নয় এমন সেদ্ধ চাল শর্তসাপেক্ষে আমদানি করা যাবে।
জয়পুরহাটের হেনা এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, দিনাজপুরের রেনু কন্সট্রাকশন ১৫ হাজার টন, খুলনার কাজী সোবহান ট্রেডিং করপোরেশন ১০ হাজার টন, বগুড়ার আলাল এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস ১০ হাজার ও আলাল এন্টারপ্রাইজ পাঁচ হাজার টন, নওগাঁর দীপ্ত এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, আকাশ এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, ঘোষ অটোমেটিক রাইস মিল ১৫ হাজার টন, মেসার্স নুরুল ইসলাম ১০ হাজার টন ও জগদীশ চন্দ্র রায় ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, এই বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ চাল এবং ২০ দিনের মধ্যে পুরোটাই দেশে বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ২০ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত দেয়া হয়েছে।