স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : হবিগঞ্জে “মরহুম আবদুল মালেক চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার” এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গত রোববার জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়।
পাঠাগারের সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব সজিব আহমেদ, মাধবপুর উপজেলার ইউএনও জনাব তাসনুবা নাশতারান, সহকারী কমিশনার (ভুমি ) মোঃ মহিউদ্দিন, হবিগঞ্জ মহিলা কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব আবদুজ জাহের, মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক সংগঠক কাউছার আহমদের উপস্থাপনায় পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবদুল মালেক চৌধুরী’র ২য় সন্তান সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও বিটাক এর মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক, সংস্কৃতিসেবী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও সমাজের বিপুল বিপুল সংখ্যক গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিবৃন্দ মরহুম আবদুল মালেক চৌধুরীর নামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমাজকে আলোকিত করার জন্য গ্রন্থাগারের কোন বিকল্প নেই। তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বেশী বেশী করে বই পাঠে উৎসাহিত করতে হবে। জ্ঞান চর্চা ব্যতিত সমাজকে আলোকিত করা যাবে না। আর জ্ঞান চর্চার উৎকৃষ্ট স্থান হলো পাঠাগার।
স্বাগত বক্তব্যে আনোয়ার চৌধুরী বলেন, নবপ্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের লেখা বই, তাঁর জীবন ও কর্মের উপর লেখা বই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লেখা বই, মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা বই, স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্র, বৃহত্তর সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্যের উপর লেখা ধর্মীয় গ্রন্থ, গল্প, উন্যাস, শিশুতোষসহ নানা রকম মুল্যবান গ্রন্থাদি পাঠাগারের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বই সংগ্রহের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
গ্রন্থাগারে বই উপহার দেওয়ার জন্য গুনিয়াউক নিবাসী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মোঃ মইনুল ইসলাম, সমাজ সেবক শাহেদ বিন হাসান পলাশ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী, পিআইও মাসুদুল ইসলাম, শিক্ষক সৈয়দ মশিউর রহমান প্রমুখকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান আনোয়ার চৌধুরী।
প্রধান অতিথি কর্তৃক ফলক উন্মোচন ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পাঠকদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরী উন্মুক্ত থাকবে।