গত বুধবার আইপি ক্যামেরা বেজড সার্ভিলেন্স সিস্টেম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব ক্যামেরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখ, সড়ক ও জনবহুল স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ যে কোন অপরাধীর ছবি দিয়ে আইপি ক্যামেরার সার্ভারে অনুসন্ধান করতে পারবে। ওই অপরাধীরা যদি আইপি ক্যামেরার আওতাভূক্ত কোন এলাকায় চলাফেরা করেন সার্ভার তা শনাক্ত করতে পারবে বলেও জানান।
সূত্র জানায়, সিলেট কোতোয়াল থানায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক এসব ক্যামেরা মনিটরিং করা হচ্ছে। এ জন্য কাজ করছেন কম্পিউটার কাউন্সিল থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১২ সদস্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১১০টি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ জানান, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার হচ্ছে ১০টি ফেস রিকোগনিশন (এফআর) বা ব্যক্তি শনাক্তকরণ এবং ১০টি অটো নম্বর প্লেট রিকোগনিশন (এএনপিআর) যানবাহনের নম্বর প্লেট চিহিত করণ ক্যামেরা।
এ ব্যাপারে ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ জানান, তারা এক বছর আগে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেন। গত বুধবার এসএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইপি ক্যামেরা বেজড সার্ভিলেন্স সিস্টেম হস্তান্তর করেছেন। ইতোমধ্যে নগরবাসী এর সুফল পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।