জীবনশৈলী ডেস্ক : সাধারণত প্রতি ২৭ থেকে ২৮ দিন পরপর ত্বকের কোষ তৈরি হয় আর ত্বকের উপরিভাগের কোষ মারা যায়। এই মরা কোষ নিচের নতুন কোষের সঙ্গে মিশে থাকে। এগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। জেনে নিন মুখমণ্ডলে ত্বকের মৃতকোষ দূর করার কিছু উপায় :-
ফেস স্ক্রাব : মৃতকোষ সরাতে একটি জনপ্রিয় উপায় হলো এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বা ফেস স্ক্রাব। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে এটা ত্বককে ড্যামেজ করতে পারে। তাই সঠিক ফেস স্ক্রাব বেছে নিতে হবে। কঠিন কণা রয়েছে এমন প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন, যেমন- বাদামের খোসা। যেসব স্ক্রাব লবণ বা চিনি থেকে তৈরি করা হয়েছে তা ব্যবহার করতে পারেন, কারণ এগুলো সহজে মিশে যায় ও ত্বকে সূক্ষ্ম ক্ষত সৃষ্টি করে না। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য লবণ-চিনির স্ক্রাব উপযুক্ত নয় এবং সপ্তাহে একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
ওয়াশক্লথ : অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে ক্লথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। একটি ক্লথওয়াশ কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। তারপর ছোট ছোট বৃত্তে ত্বকে মৃদুভাবে ঘষতে থাকুন। এক্সফোলিয়েশনের পূর্বে মুখমণ্ডল ধুয়ে নিলে আরো উপকার পাওয়া যেতে পারে, কারণ এতে ত্বকের ছিদ্র উন্মুক্ত হয়।
ন্যাচারাল স্পঞ্জ : মুখমণ্ডলের মৃতকোষ অপসারণে ন্যাচারাল স্পঞ্জ বেশ কার্যকর হতে পারে। প্রথমে একটি ন্যাচারাল স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে চিপে নিন। তারপর ছোট ছোট বৃত্তে হালকা ঘষে মুখমণ্ডলের মরা কোষ তুলে ফেলুন। ত্বককে উক্ত্যক্ত করতে না চাইলে স্পঞ্জ দিয়ে বেশি চাপ দেবেন না। হালকা ঘর্ষণই মৃতকোষকে তুলে আনতে যথেষ্ট।
কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশন : কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশনের জন্য যেসব প্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেগুলোতে মাইল্ড অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের মরা কোষগুলোকে দূর করে। মুখমণ্ডলে এক্সফোলিয়েশনের জন্য বাজারজাত অধিকাংশ প্রোডাক্টেই কম মাত্রায় কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার করা হয়, তাই এগুলো বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্টের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হলো আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও রেটিনল।
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড মৃতকোষগুলোকে সহজে অপসারনের মাধ্যমে নতুন কোষকে প্রকাশমান করে। বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড বন্ধ হয়ে যাওয়া ত্বকের ছিদ্রকে খুলে দেয়। এটা তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহারের জন্য বেশি উপযুক্ত। আর রেটিনল মরা কোষ অপসারণ ও ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। রেটিনল প্রদাহ বাড়াতে পারে। তাই একজিমা, সোরিয়াসিস ও রোসাশিয়া থাকলে রেটিনল এড়িয়ে চলুন।