গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের মাঝে। অল্প সময়ে কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় আশায় উপজেলার অনেক কৃষক আলুর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করছেন। সাধারণত জমি থেকে আলু তুলে নেয়ার পর অন্য ফসল রোপনের পূর্ব পর্যন্ত জমি পতিত পড়ে থাকে।
রোপনকৃত আলুর চারা গজানোর ২৫/৩০ দিন পর সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করলে জমি আর পতিত ফেলে রাখতে হয় না। আলু তোলার সময় যখন ঘনিয়ে আসে মিষ্টি কুমড়ার চারাগুলো ততদিনে ডালপালা মেলতে শুরু করে। মিষ্টি কুমড়ার ডালপালা সরিয়ে রেখে আলু তুলে নেয়া হয়। এর কিছুদিন পর কুমড়া ধরতে শুরু করে। তখন কৃষকের ক্ষেত ভরে থাকে মিষ্টি কুমড়ায়।
উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের কিশামত হাবু গ্রামের কৃষক কমল রায় বলেন, এ বছর তিনি ১২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৭ বিঘা জমিতেই আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছেন। তবে তিনি আলুর ৫কান্দি (সারি) পর পর মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছেন বলে জানান। ফলন ভালো হলে বাড়তি আয় হবে বলে তিনি আশাবাদী।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের উত্তর কোলকোন্দ গ্রামের কৃষক মহুবার রহমান, আব্দুস সালাম, আব্দুল কাদের, হাফেজ আলী ও ইসমাইল হোসেন জানান, তারা প্রত্যেকেই তিস্তার চরে ২ বিঘা করে জমিতে আলুর সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছেন। তবে আলুর ২ কান্দি(সারি) পর পর মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হলে তেমন বাড়তি খরচ হয় না কিন্তু অল্প সময়ে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়া যায়।