লাইফস্টাইল ডেস্ক : চালের গুঁড়া মানেই তো পিঠাপুলি তৈরির অন্যতম উপকরণ। তবে দৈনন্দিন রূপচর্চায়ও এর কার্যকারিতা কম নয়। কারণ, চালের গুঁড়া এমন একটি উপকরণ, যা সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বক পরিষ্কার করতে চালের গুঁড়া খুব কাজে দেয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আপনি চাইলে ত্বকের যত্নে চালের গুঁড়ার তৈরি প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক যেমন হবে বলিরেখাহীন টানটান, তেমনি দূর হবে ত্বকের শুষ্কতা ও মরা চামড়া।
চালের গুঁড়া, ডিম ও গ্লিসারিন : ১ চা চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং দুই থেকে তিন ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিট মুখে পেস্টটি লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা এই পেস্টটি সপ্তাহে দুইবার লাগান। ত্বক হবে তেলহীন ও উজ্জ্বল।
চালের গুঁড়া, দুধের সর ও হলুদ : দুধের সর ত্বককে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে আর হলুদে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ১ চা চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ দুধ এবং ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
চালের গুঁড়া ও ঠাণ্ডা দুধ : চালের গুঁড়ার সঙ্গে ঠাণ্ডা দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে চাল ধোয়া পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হবে ত্বক।
চালের গুঁড়া, মধু ও টক দই : এই তিন উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন ত্বকে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসার পাশাপাশি টানটান হবে ত্বক।
চালের গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, কলা : চালের গুঁড়ার সঙ্গে পাকা কলা ও কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ডার্ক সার্কেল দূর করবে। চোখের আশেপাশের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন মিশ্রণটি। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
চালের গুঁড়া ও জাফরান : চালের গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ ও কয়েকটি জাফরান মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করবে। পাশাপাশি দূর হবে ত্বকে জমে থাকা মরা চামড়া।