স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : ভোলার দৌলতখান লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী একটি লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা কোহিনুর বেগম (৪০) নামে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত কোহিনুর বেগম ওই উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মো. সালাউদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে জানা যায়, এমভি ফারহান-৫ নামক একটি লঞ্চ হাতিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে দৌলতখান লঞ্চঘাটে যাত্রী উঠানোর উদ্দেশ্যে ঘাটে ভেড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু লঞ্চটির বেপরোয়া গতির কারণে পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী কোহিনুর বেগমকে ধাক্কায় দেয়। এতে তার বাম পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সিফাত জানান, রোগীর বাম পায়ে আঘাত লেগে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি মো. বজলার রহমান বলেন, নারীটি লঞ্চে উঠতে গিয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।