ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
20, January, 2021, 1:33:53:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : ভারতে ১৬ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা দেবার কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর আজ ১৯ তারিখ পর্যন্ত টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ছয়শ জনের মতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই একজন মারাও গেছেন। যেসব দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে সেসব দেশ থেকেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কিছু খবর আসছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, এবং বমিভাব।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি যে তিন কোটি টিকা বিনামূল্যে দেবে তার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে তাই বাংলাদেশেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
যাদের জ্বর বা অ্যালার্জি আছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম কিম্বা যারা এমন কোন ঔষধ খাচ্ছেন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত করে তাদের টিকা না নিতে ভারতে আজ পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "যে কোনো ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যেভাবে ঔষধের প্রতিক্রিয়া থাকে। তারপরও আমরা ভ্যাকসিন নিচ্ছি দীর্ঘকাল যাবত। কাজেই এখানেও রিঅ্যাকশন হতে পারে। ইতোমধ্যেই আমারা ঠিক করেছি যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টিকা দেওয়া হবে, কেউ যদি অসুস্থ বোধ করে তাদের সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যেসব হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে তার সবগুলোতে একজন করে কর্মকর্তা থাকবেন যার দায়িত্ব হবে কারো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো। তবে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনা তদন্ত করা হবে না। যেসব ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া গুরুতর, মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তির বিষয় রয়েছে শুধু সেগুলো তদন্ত করা হবে। কোন গ্রামে দুই বা তার বেশি ব্যক্তির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে সেখানেও তদন্ত করা হবে। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সকল ঘটনা নথিভুক্ত করা হবে।
যিনি টিকা নিয়েছেন তিনি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শুরু করতে হবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে হবে। টিকায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রোটকলে সেটিও বলা আছে।