ওয়াহেদুজ্জামান দিপু, নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
দেশ স্বাধীনের পর থেকে একটি রাস্তার স্বপ্ন দেখছেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কালিপুর গ্রামবাসী। আজও তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর থেকে তাদের অনেক জনপ্রতিনিধিই একটি রাস্তার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।

সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা তাদের রাস্তাটি উন্নতি করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কোন জনপ্রতিনিধি এই গ্রামের রাস্তাটির দিকে নজর দেয় না বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

তারা জানান আমাদের গ্রামের যোগাযোগের একটি মাত্র রাস্তা। যে রাস্তা দিয়ে আমরা ইব্রাহীমপুর বাজারসহ নবীনগর উপজেলা এবং জেলা শহর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া যেতে হয়। বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতেই যে টুকু রাস্তা আছে তা পানির নিচে চলে যায়, যার ফলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

গ্রামের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ও গ্রামবাসী যাতায়াতের রাস্তাটি প্রায় ৫০ বছর ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, উল্টে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ২ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে।

জানা যায়, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন জেলা উপজেলা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও লাগেনি কালিপুর গ্রামের রাস্তাটিতে। এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে দুটি কাপড় নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়, একটি কাপড় কাঁদায় নষ্ট হয়ে যায় আরেকটি কাপড় পড়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনেক অসূস্থ মানুষ দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না নিয়ে যেতে না পারায় মৃত্যু বরন করেছেন। উপজেলার সকল গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ কোনো বরাদ্দ দিয়ে কাজ চললেও এ রাস্তার বরাদ্দ না পাওয়ায় স্থানীয় দায়িত্বশীলদের অযোগ্যতাও দায়ী বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসিরা।

প্রায় আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হয় জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে ধান তোলার সময় দুর্ভোগের শিকার হয় কৃষকেরা।

বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা ওই রাস্তা করে দিবে বলে আশ্বাস দিলেও আজও পর্যন্ত সেই কাজটি করেননি। এইগুলো সংস্কারে এবং নাগরিক সুবিধা দিতে সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা পাওয়া যাচ্ছে না।

এবিষয়ে ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোছা বলেন- বাশঁবাজার থেকে কালিপুর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ আমি করে দিয়েছি, বাকি কাজটুকু আমি করতে পারেনি স্থানীয় জমিদাতাদের অনীহার কারনে। তবে আমার মেয়াদ থাকা কালেই আমি চেস্টা করতেছি রাস্তাটি করে দেবার জন্য।