নোয়াখালী প্রতিনিধি : চতুর্থ দফার দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে রওনা দেয় তারা। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানা যায়, কুয়াশার কারণে আজ একটু দেরি করেই জাহাজ ছেড়েছে। বেলা ১টার পর তারা ভাসানচর পৌঁছেছেন।
সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে মিয়ানমার ছেড়ে আসার পর এসব রোহিঙ্গা উখিয়ার বালুখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। এর আগে সোমবার অপরাহ্নে বাসযোগে এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর তাদের বিএএফ শাহীন কলেজে রাখা হয়।
এদের স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফায় তিন হাজার ২১ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হলো। সোমবার চতুর্থ দফার প্রথম দিনে দুই হাজার ১০ জন ভাসানচর যান। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে এক হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় তিন হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।