স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের বিয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট ভক্তরা। বিয়ের সপ্তাহ না যেতেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন নাসির। ভ্যালেন্টাইনস ডেতে কেবিন ক্রু তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেন নাসির। তাদের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি উষ্ণতা ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা দুজনকে নিয়ে মেতে ছিলেন কয়েকদিন। কিন্তু এক সপ্তাহ পূর্ণ না হতেই জানা গেল নাসিরপত্নীর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। তার দাবি, তামিমা তাকে ডিভোর্স না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন।
শনিবার তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান দাবি করেন, তামিমার সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়নি। এ বিষয়ে তামিমাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমের কাছে তাদের কাবিননামা ও জিডির কপি পাঠিয়েছেন তামিমার প্রথম স্বামী। তার দাবি, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তাদের ঘরে ৮ বছর বয়সী মেয়ে সন্তান রয়েছে।
রাকিব হাসান জানান, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তামিমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অনেক বছর তামিমার পক্ষের কোনো আত্মীয়স্বজনের দেখা পাইনি। বছর চারেক আগে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তামিমাকে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি দিই। এই চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সে বদলে যেতে থাকে।
বিমানে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর কারণে তাকে কম কাছে পেতে থাকি। ইতোমধ্যে আমাদের মেয়ের দেখভালের জন্য তার মাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসি। এতে উপকারের বদলে অপকারই হয়। ঝগড়া এড়াতে আমি গত এক বছর ধরে একা অন্য একটা বাসায় ভাড়া থাকছি। ইতোমধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ফেসবুক আর গণমাধ্যমে দেখি আমার স্ত্রী বধূবেশে ক্রিকেটার নাসিরের পাশে।
রাকিব হাসান আরও বলেন, নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা সেই বিয়ের ভিডিও আমার মেয়ে দেখে অঝোরে কাঁদছে। আমাকে কোনো নোটিস না দিয়ে, কোনো কাগজপত্র না পাঠিয়ে কেন এভাবে অন্যের স্ত্রী হতে চলে গেল তামিমা? আমি বুঝতে পারছি না। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি। আমার অবুঝ মেয়ে কী দোষ করেছে? যে এখন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখে কাঁদছে?
রাকিব বলেন, বছরখানেক আগে আমি তামিমার ইনস্টাগ্রামে নাসির হোসেনের সঙ্গে তার ছবি দেখেছিলাম। এমন একটি ছবি নাসিরও ফেসবুকে দিয়েছিল। তখন তামিমা বলেছিল, নাসির হোসেন তার বন্ধু।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার এক রেস্তোরাঁয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন নাসির হোসেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল এ যুগলের গায়েহলুদ। এর একদিন পর জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নাসির ও রাকিবের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ। ওই কথোপকথনে তামিমার প্রথম বিয়ের সত্যতা মেলে। নাসিরও স্বীকার করেন, সবকিছু জেনেই তামিমাকে বিয়ে করেছেন তিনি।