নরসিংদী প্রতিনিধি:
গত রোববার গভীর রাতে বেলাব উপজেলার কাঠাল তলা বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। অগ্নিকান্ডে ১৫ টি মুদি দোকানসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল সম্পূর্ণভাবে ভষ্মিভূত হয়েছে। জানা গেছে, রাত আনুমানিক ২টার সময় বাজারের সুজন মিয়ার মুদি দোকানের বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে এবং মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা বাজারের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বেলাব ও রায়পুরা থেকে ফায়ার সার্ভিস এর লোকেরা ঘটনাস্থলে এসে জনগণের সহায়তায় প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

রায়পুরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসের ষ্টেশন অফিসার মো: রহিদুর রহমান মৃধা জানান, বাজারের আশপাশে কোন পানির ব্যবস্থা নেই বিধায় প্রায় এক মাইল দুরে রহিমের কান্দি গ্রামের একটি পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে। এছাড়া এ বাজারে গাড়ী প্রবেশ করার মত কোন ব্যবস্থা না থাকার কারনে অনেক কষ্ট করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে অনেকটা সময় ব্যায় হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে উল্লেখিত স্থানে চৌরাস্তার মোড়ে রাস্তার পাশে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অপরিকল্পিতভাবে জনবসতি এলাকায় ১৯১৫ সালে দুলাল কান্দি গ্রামের বাসিন্দা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুল বাছেদ তার নিজস্ব জমিতে চৌরাস্তার মোড়ে রাস্তার পাশে অপরিকল্পিতভাবে সর্বপ্রথম একটি পাকা মার্কেট গড়ে তোলেন। মার্কেটটি নাম রাখা হয় সাইদুর সুপার মার্কেট। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন তাদের নিজস্ব জমিতে একই পন্থায় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাব একের পর এক দোকান ঘর নির্মান করে এবং সেগুলো ভাড়া দিয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিজেদের পকেট ভারী হলেও এ বাজার থেকে সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে রাস্তার পাশে গড়ে উঠা দোকানের পাশ দিয়ে একটি প্রাইভেটকার প্রবেশ করাতো দুরের কথা একটি রিক্সা পর্যন্ত এ রাস্তা দিয়ে যেতে হিমসিম খাচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়ত এখানে জানঝট লেগেই থাকে। ফলে এ সড়ক দিয়ে জনসাধারনের চলাচলের মারাত্বক ব্যাগাত ঘটছে। এলাকাবাসী জানায়, রাস্তার পাশে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এ কাঠাল তলা বাজারটি বন্ধ করে দিয়ে গ্রাম থেকে কিছু দুরে নীরিবিলি পরিবেশে পরিকল্পিতভাবে একটি বাজার গড়ে তোললে এলাকাবাসী যেমন সুযোগ সুবিধা পাবে এবং সরকারও এখান থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষন করা একান্ত প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।